Header Ads

কবুতরের থাকার জায়গা

                                আমার কবুতর নিয়ে লেখা পোস্ট(৩)

আমি এর আগেও বলেছি,কবুতরের থাকার জন্য বাড়তি বা নির্দিষ্ট কোনো জায়গার
প্রয়োজন নেই। বাড়ির আঙিনা থেকে শুরু করে ছাদের নিচের কার্নিশ, বাড়ির ছাদ,
ঘরের দেয়াল ইত্যাদি যে কোনো জায়গায় কবুতরের ঘর বানানো যায়। শুধু  খেয়াল
রাখতে হবে- কোনো ভাবেই কবুতরের  ঘরে যেন  ইঁদুর,  বেড়াল,  শেয়াল     ইত্যাদি
ক্ষতিকারক প্রাণীগুলো ঢুকতে না পারে।  এ-ই  কারণে  কবুতরের ঘর তৈরির  সময়
কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
                ১)  কবুতরের  ঘর  যেখানেই  তৈরি  করুন  না  কেন-লক্ষ্য  রাখবেন-সেই
ঘর  যেন  ক্ষতিকারক  প্রাণী  বা  পাখিগুলো  নাগাল না পায়। এ-ই কারণে ঘরগুলো
একটু  উঁচু  বাশের  খুটির  ওপর  বা  পিলার এর ওপর তৈরি করলে ভালো হয়। ঠিক
যেমনটি  পার্বত্য  অঞ্চলের  মানুষরা  তাদের  নিজেদের ঘরবাড়ি তৈরি করে থাকে।
           ২) কবুতরের  বাসস্থান  নির্মাণের  সময়  একটি  বিষয়  খেয়াল  রাখতে  হবে-
কবুতর  উড্ডয়নশীল  পাখি।  অর্থাৎ  কবুতরকে  হাঁস-মুরগির  মতো  বদ্ধ জায়গায়
আবদ্ধ  করে  রাখা  যাবে  না। এ-ই  কারণে  কবুতরের ঘরটি যেন একটু খোলামেলা
জায়গাতে  হয়।  যাতে  করে  কবুতর অনায়াসে ঘরে থেকে বেরিয়ে খোলা আকাশে
বিচরণ  করতে  পারে।  আলো-বাতাসের  প্রাচুর্য  কবুতরকে বেশি প্রজননক্ষম করে
তুলতে পারে।
              ৩) সাধারণভাবে  হালকা  ধরনের  কাঠ, টিন,  প্যাকিং  কাঠ  ইত্যাদি  দিয়ে
কবুতরের   ঘর   তৈরি  করা  হয়ে  থাকে।  ছাদ  হিসেবে  পাতলা  টিন  ব্যবহার করা
যেতে  পারে।  অনেকে  ঘরের  মধ্যে  ঝুড়ি  ঝুলিয়ে  কবুতর  পালন  করে  থাকেন।
এতে  অসুবিধা  নেই  তবে  এতে  করে  আপনার  ঘরের  মধ্যে কবুতরের বিষ্ঠা পরে
ঘর নোংরা হতে পারে।
            ৪) সারিবদ্ধভাবে  অনেকগুলো  ঘর  পাশাপাশি  এবং  বহুতল  বিশিষ্ট  করে
নির্মাণ  করা  যেতে  পারে।  একটি  ঘর  থেকে  অপর  ঘরের  মধ্যে  একটি  পাতলা
দেয়াল থাকতে পারে।
         ৫) ঘরের  সামনে  ছাউনি  দেয়া  অথচ  তিনপাশ  (বাম, ডান,  সামনে)  খোলা
বারান্দা  থাকলে  ভালো  হয়।  কারণ,  কবুতর  তার  ঘরের  সামনের  বারান্দায় বসে
কিছুক্ষণ  বিশ্রাম  নিতে  পারে।  এখানে  একটি  পানির  ও   খাবার  পাত্রের   ব্যবস্থা
করে  দিলে  আরও   ভালো  হয়।  তাহলে  পানি  ও   খাবার  পাত্রে  কোনো     ময়লা
আবর্জনা পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
          ৬) বাণিজ্যিকভাবে  নির্মিত  কবুতরের  ঘরের  সামনে  ছাউনি  দেয়া  বারান্দা
       থাকার  পরও  অনেকে  ছাদ  খোলা  একটি  বারান্দা  তৈরি  করে  রাখে ।  যাতে
       করে  কবুতর  এখানে  বসেও  আলো  বাতাসের  স্পর্শ  পেতে  পারে।
       ৭) কবুতরের  ঘরের  ভেতর  বাড়তি  কিছু  খড়  রাখা  যেতে  পারে ।  তবে এ-ই
      কাজটি  কবুতর  যাতে  নিজে নিজেই করতে পারে-সেইজন্য তাদের  নাগালের
      মধ্যে খড়ের ব্যবস্থা রাখলে ভালো হয়।
        ৮) বাণিজ্যিকভাবে  নির্মিত  কবুতরের  ঘরের  জন্য  প্রতি  জোড়া   কবুতরের
ঘর  লম্বা,  চওড়া  এবং  উচ্চতায়  ৩০  সেন্টিমিটার  মাপ  ব্যবহার করা উচিত।এ-ই
মাপের  প্রতিটি  ঘরে  একজোড়া  করে  কবুতর  থাকতে  পারবে ।  এমনকি    ডিম
পাড়ার  পরে  কবুতর অনায়াসে যাতে ডিমে তা দিতে পারে -সেইজন্য এ-ই  মাপটি
অনুসরণ করলে ভালো হয়।
পরিশেষে জানা কাজগুলো জেনে নেই......
১/কবুতরের ঘর যাতে শুষ্ক ও আবর্জনামুক্ত থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
২/মাঝে মাঝে কবুতরের ঘর এবং ঘরের মেঝে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৩/অন্তত মাসে একবার হলেও কবুতরের ঘর থেকে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার
করতে হবে।
৪/কবুতর পালনের প্রধান শর্ত হলো-একে ভালো রাখতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন
পরিবেশে পালন করতে হবে। তা না হলে কবুতর জোড়া বেঁধে  অন্য কারও
বাড়িতে চলে যেতে পারে।

আমার  কবুতর   নিয়ে  লেখায়   কোনো  কিছু ভুল  হলে  ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

আর সবার কবুতর ভালো থাকুক আপনারাও ভালো থাকেন।                  

No comments

জানা কথা জেনে নেই

জানা কথা জেনে নেইঃ সর্বোপরি কবুতর পালনের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে- তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১) কবুতরের  ঘরটি  অবশ্...

Theme images by Roofoo. Powered by Blogger.