Header Ads

কবুতর পালন ও চিকিৎসা

                                         আমার কবুতর নিয়ে লেখা প্রথম পোস্ট(1)
আমাদের দেশে বিভিন্ন গৃহপালিত পাখির মধ্যে কবুতর সর্বাধিক জনপ্রিয়। কারণ,
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কবুতর পালন করা হয়-এর বাহ্যিক সৌন্দর্য্যগত দিকগুলোর
কারণে। প্রাচীনকালে কবুতর  পালন করা হতো-চিঠি আদানপ্রদানের কাজে। শোনা
যায়- প্রাচীনকালে রাজা-বাদশাহ্ তাঁদের বিভিন্ন ধরনের বার্তা প্রেরণের জন্য বেছে
নিতেন  কবুতরকে। এছাড়া, সারা পৃথিবী জুরে  কবুতরকে ধরা হয় শান্তির দূত হিসেবে।
এ-ই কারণে, বিভিন্ন গঠনমূলক কাজে ধর্মাধর্ম নির্বিশেষে কবুতরকে
খাঁচামুক্ত করে উদ্বোধন করা হয়।
        সবচেয়ে বড় কথা,  কবুতর পালন করার জন্য অতিরিক্ত বা বাহুল্য কোন খরচ
হয় না। কবুতরকে সহজেই পোষ মানানো যায়। বাড়ির যেকোনো কোণ বা আঙিনা
অথবা বাড়ির ছাদে কিংবা কার্নিশের মতো ছোট বা  অল্প জায়গাতেও কবুতর পালন
করা যায়। এমন কি ছাদের সাথে ঝুড়ি ঝুলিয়েও কবুতর পালন করা যায়। এ-ই
কারণে, শহরে কী গ্রামে-অনেক বাড়িতেই কবুতর পালন করা যায়। 
           কবুতরের গোস্ত অত্যন্ত সুস্বাদু এবং বলকারক বিশেষজ্ঞরা বলেন, কবুতরের
গোস্তে সাধারণ অন্যান্য পাখির গোস্তের চাইতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। ফলে
আমিষের পাশাপাশি প্রোটিন এর বাড়তি চাহিদা পূরণের জন্যও কবুতর গোস্তো
খাওয়া হয়ে থাকে। বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করে অনেকেই অল্প সময়ে
এটাকে লাভজনক ব্যাবসা হিসেবে দাড় করাতে পেরেছেন। কবুতর সাধারণ ভাবে
জোড়ায় বেধে বাস করে। প্রতি জোড়ায় একটি পুরুষ এবং একটি স্ত্রী কবুতর
থাকে। এরা ১২থেকে১৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। যতদিন বেঁচে থাকে -ততদিন
এরা ডিমের মাধ্যমে বাচ্চা প্রজনন করে থাকে। ডিম পাড়ার পর স্ত্রী ও পুরুষ উভয়
কবুতরই পর্যায়ক্রমে উক্ত ডিমে তা দিয়ে থাকে।এবং ১৮/১৯দিনে বাচ্চা ডিম হতে
বের হয়। কবুতরের কোন জোড়া হটাৎ ভেঙে গেলে সেই জোড়া তৈরি করতে কিছুটা
বেগ পেতে হবে। 
তবে নতুন জোড়া তৈরি করার জন্য স্ত্রী ও পুরুষ কবুতরকে একঘরে কিছুদিন রাখতে হবে। 

আমার এ-ই কবুতর নিয়ে লেখায় কোনোকিছু ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
(আর ভালো লাগলে আমাদের সাথেই থাকবেন)

No comments

জানা কথা জেনে নেই

জানা কথা জেনে নেইঃ সর্বোপরি কবুতর পালনের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে- তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১) কবুতরের  ঘরটি  অবশ্...

Theme images by Roofoo. Powered by Blogger.